বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন
মাসুদুর রহমান-রাজধানীর গুলশানে বিভিন্নজনের দোয়া থাকাই ফাওজিয়া আকবর মুন্নি হয়ে ওঠেন ক্ষমতাবান। মুন্নির (B1739348) ,মেয়ে আশা হোসাইন (BM0767071) পাসপোর্টে রব ভবন বাসা-৩, গুলশান নর্থ সার্কেল,গুলশান-২ নামে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা অপকর্ম।পাসপোর্ট ইস্যুর আগে যে পুলিশ সদস্য ভেরিফিকেশন করেছেন সেটা যথার্থ ছিল না বলে মনে করছেন সচেতন মহল। নিজের নাম ঠিক রেখে বাকি যেসব তথ্য দিচ্ছে, তা পুরোপুরি বানোয়াট। অন্যের ঠিকানা ব্যবহার করায় আক্তারুজ্জামান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ৫ মে গুলশান থানায় (নং-২৩৭০) সাধারণ ডায়েরী করেন।পুলিশ ভেরিফিকেশনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে দেশের নিরাপত্তা নানা দিক থেকে হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট গুলশান আমলী আদালত-২৭ এর বিচারিক হাকিম মুন্নির বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন। সি আর- ৬০৯/২০২০ প্রতারণা মামলায় মুন্নি জামিনে রয়েছেন ।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে,সুদের ব্যবসার পাশাপাশি প্রশাসনের চোখকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফ্ল্যাট বাসায় দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স ব্যতীত মদ ও ইয়াবার ব্যবসার পাশাপাশি সন্ধ্যায় চলে মক্ষীরাণীদের গানের তালে তালে নৃত্য । কমিশন ভিত্তিতে পতিতা ও মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে কিছু রিক্সা ও সিএনজি এবং প্রাইভেট চালক। তাছাড়া পতিতা-খদ্দের খোঁজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু-কিশোরদেরও। নিরাপদ এলাকা হিসাবে মাঝারী থেকে বড় মাপের ব্যক্তিরাও তার বাসায় গিয়ে তাদের আকাম-কুকাম সারছে প্রতিনিয়ত। পতিতা ব্যবসার পাশাপাশি খদ্দেরের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্য। এতে সংসার ভাঙছে অনেক প্রবাসী ও নামীদামী ব্যাক্তিদের।এসব কাজে জড়িত রয়েছে স্থানীয় রাঘববোয়ালরা। প্রতিদিন অপরাধ করেও রহস্যজনক কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। পতিাবৃত্তির কষাঘাতে অকালে ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী। মুন্নির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট । তারা কৌশলে চালাচ্ছে এসব অপকর্ম। মুন্নি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক কয়েকটি বিয়ে করেন। স্বভাব চরিত্র ভাল না থাকায় স্বামী তালক দিয়ে দেশের বাহিরে চলে যায় । অন্য জন শামীম হোসেন ১৫ বছর পুর্বে তাকে তালাক প্রদান করেন। বর্তমান তার কথিত স্বামী হিসেবে কাজী তুহিন দেখভাল করছেন। জাতীয় পরিচয়পর্ত্রে স্বামী হিসেবে শামীম হোসেনের নাম রয়েছে। হাল নাগাদের সুযোগ আসলেও জাতীয় পরিচয় পত্র হাল নাগাদ করতে পারেনি তিনি।
কথা হলে ফাওজিয়া আকবর মুন্নি জানান, আমার পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন করে নিব । কাজী তুহিনের সাথে আমার ৪ বছর সংসার হয়েছে । ডিভোর্সও হয়েছে । বর্তমানে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক । মাদক ও মক্ষীরাণীদের গানের তালে তালে নৃত্য’র কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন , হয়তো বাসায় কোন পার্টিতে সে ভিডিও করা হয়েছিল ।
Leave a Reply