বুধবার, ০৩ মার্চ ২০২১, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
আমাদের রক্তের রং, চোখের পানি সবকিছু একই রকম, কি অদ্ভুত তাই না? দিনরাত অপরাধ করা একটি মানুষ এবং নিরপরাধ একজন মানুষের কান্নার মধ্যে কোনো শ্রেণি বিভাজন নেই!
আমাদের এখানে আপনি কিছু ভাল কাজ দিয়ে একবার যদি নিজেকে ফেরেশতারূপে উপস্থাপন করতে পারেন (যারা প্রকৃত অর্থেই কাজ করেন, তারা বাদে) তবে জেনে রাখেন আপনার রাস্তা পরিষ্কার! আপনার জন্য প্রতিবাদী যোদ্ধারা সকলে মিলে সোচ্চার হয়ে উঠবেন! তারা একবার বুঝারও চেষ্টা করবেন না যে, আপনাকে দিয়েও ভুল বা অপরাধ হতেই পারে! সকলে মিলে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রদানের এই যে প্রবণতা তা আপনাকে বিনা টিকেটে ফেরেশতার সনদ দিয়ে দেবে! জোর করে ধারণ করা ভাল মানুষের আচরণ দীর্ঘ সময় ধরে রাখা না গেলেও, কেউ কেউ খুব চতুরতার সাথে এসব মেনে চলেন!
অন্যদিকে আপনি ভুলক্রমে অপরাধ যদি একবার করেই থাকেন এবং বিদ্যমান আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত হন! তাহলে মাথায় গেঁথে রাখুন, এই সমাজে আর কোনো মহৎ প্রচেষ্টা বা ভাল কাজে আপনার সংযুক্তিও, আপনাকে আর ভাল মানুষের খাতায় আনতে পারবে না! অথচ আপনি হয়তো প্রকৃত অর্থেই ভাল হওয়ার প্রচেষ্টায় আছেন! সমাজের মানুষের নিজেদের মত করে বিশ্লেষণ, নিজেদের মত প্রতিক্রিয়া প্রত্যেক সমাজেই থাকে! কোথাও সেটি থাকে প্রগতিশীলতার মোড়কে আবার কোথাওবা প্রতিক্রিয়াশীলতার মোড়কে! সমস্যা হয় প্রতিক্রিয়া যখন প্রতিক্রিয়াশীলদের মতাদর্শ মেনে আসে।
আমাদের সমাজে আপনি যদি অপরাধও করেন এবং আপনার যদি দু’চোখ ভরে জল থাকে তাহলে ধরেই নেন, সাধারণ মানুষের চোখে আপনি নিষ্পাপ বলেই পরিগণিত হবেন! অন্যদিকে আপনি অপরাধী নন, কিন্তু আপনাকে আপনার প্রতিবেশী অন্যায়ভাবে অপরাধী করার চেষ্টা চালাচ্ছে, আপনি যদি তা বলিষ্ঠ চিত্তে মোকাবেলা করেন, তবে মানুষের চোখে আপনি অপরাধীই হবেন এবং এর প্রভাবে পরবর্তী সময়ে কিছু সমস্যার উদ্রেক ঘটবে, যা নিয়ে ফায়দা লুটতে চাইবে এই সমাজেরই কেউ না কেউ!
দেখতে না পাওয়া বিষয় যেমন সবসময় মিথ্যা নয়। দেখতে পাওয়া বিষয় তেমনি সবসময় সত্য নয়! এই বোধটুকু থাকা জরুরি! কে, কাকে বুঝাবে এসব? যাই নিজের কাজ করি গিয়ে।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
লেখক : এডিসি মিডিয়া অ্যান্ড পিআর।
Leave a Reply